BANGLADESH POLICE MEDIA, PHQ
[28 JUN 2020]
বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেইজে দেশ ও বিদেশ হতে প্রতিদিন আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অনেক তথ্য, অভিযোগ এবং সাহায্যের আবেদন এসে থাকে। সেগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিটগুলোকে নিয়মিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ভিয়েতনাম হতে একজন ভুক্তভুগী বাংলাদেশী বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেইজের মেসেঞ্জার ইনবক্সে জানান যে, তারই এলাকার মানব পাচারকারী চক্রের দালাল কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী (মাসা), পিতা-রতন কাজী, সাং-তিতপুর, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ এর মাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকুরির আশ্বাসে ৩,৫০,০০০/-(তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার বিনিময়ে কিছুদিন পূর্বে তিনি ভিয়েতনামে আসেন। দালাল তাকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, কোম্পানী তাকে সরাসরি এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যাবে, তার থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসা খরচ কোম্পানী বহন করবে এবং মাসে ৬৫০ ডলার এর সমপরিমান বেতন দিবে। কিন্তু, ভিকটিম ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর দেখতে পান যে এর কোনো কিছুই সত্য নয়, তাকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যেতে কেউ আসেনি, থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই, এমনকি চাকরিরও কোনো খবরই নেই। বরং, সেখানে পৌঁছার পর হতে তার উপর শুরু হয় নানা রকম নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে ভিকটিম দেশে ফেরার জন্য দালালের সাথে যোগাযোগ করলে দালাল তাকে জানায় যে, তার (দালালের) কাজ ছিল তাকে (ভিকটিমকে) ভিয়েতনামে পৌঁছানো, এখন আর তার কোনো দায়িত্ব নাই। বর্তমানে উক্ত ভিকটিম ভিয়েতনামে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারকে অবগত করে।
জেলা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দালাল চক্রের সদস্য কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী (মাসা), পিতা-রতন কাজী, সাং-তিতপুর, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।