ময়মনসিংহ বিডি নিউজ২৪
ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড হবে ১০ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে!
দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানের ১০ লেনের সর্বাধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ৩ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ বস্তবায়ন করবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কেরিয়া ওভারসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন।
বুধবার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই রাস্তাটি চার লেনের ছিল ছিল, এ রাস্তাকে প্রশস্ত করাসহ আরও কিছু কাজ করা হবে। এটা বাস্তবায়নের জন্য কোরিয়ান একটা ভালো কোম্পানি পেয়েছি। তারা এ চার লেন রাস্তাটিকে আরও প্রশস্ত করবে। সরকার এবং কোরিয়ান কোম্পানি কেরিয়া ওভারসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন একত্রে এ কাজটি করবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কাজটির জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। এ টাকা পুরোটাই কোরিয়ান কোম্পানি দেবে। সরকারকে এক্ষেত্রে টাকা দিতে হবে না। কারণ এখন যে চার লেন রাস্তা রয়েছে সেটি সরকার নিজে করেছে। রাস্তাটিও চার লেনের সাথে সম্পৃক্ত হবে। সুতরাং সরকারকে আর টাকা খরচ করতে হবে না।
তিনি বলেন, এ কাজের জন্য যে পুনর্বাসন করতে হবে, তার জন্য ২৮০ কোটি টাকা আর ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য ১০০ কোটি টাকা সরকার বহন করবে। বাকি তিন হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা কোরিয়ান কোম্পানিটি বহন করবে। এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ রাস্তাটিকে দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানের ১০ লেনের সর্বাধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চার লেনের জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়কটি এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সূত্র আরও জানায়, চার লেনের বিদ্যমান রাস্তাটির পাশাপাশি ১০ ফুট প্রশস্ত দুপশে ব্যারিয়ার দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন নির্মাণ করা হবে। যা দিয়ে শুধুমাত্র নিরাপত্তা গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও ভিআইপিসহ যেকোনো জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচল করবে। এরপর স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য ১৮ থেকে ২৪ ফুট করে আলাদা দুটি লেন করা হবে। এছাড়া আন্ডারপাস ইউটার্ন প্রতি ২-৩ কিলোমিটার পর নির্মিত হবে। আন্ডারপাস ও ওভারপাস সিস্টেমে গাড়ি যাতে মুখোমুখি না হয় তার জন্য দুপাশের অন্য সড়ক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে উঠতে ও বের হতে ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।
[পোষ্ট টি Defence Research Forum- DefRes থেকে সংগ্রহীত]