Mymensingh bd news24:
ছাত্রলীগের কোন নেতা কোন বিল্ডিংয়ে কত ভাড়া দিয়ে থাকে সে খবর রাখে অথচ একই বিল্ডিংয়ে আমলা, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী কিংবা সচিবালয়ের দাগ খতিয়ান ছাড়া দালালেরা বিলাসী জীবনযাপন করছে সে খবর কেও রাখেনা। কোন তদন্ত হয় না, কোন নিউজও হয়না।
ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বিতর্কিত করা এই দেশে সবচেয়ে সহজ কাজ। কারণ, ছাত্রলীগকে জড়িয়ে যাই ই বলুন না কেন, কোন প্রকার চাপ আসবেনা, কেও কিচ্ছু বলবেনা। তবে মার্কেটে কাটতি বাড়বে।
ছাত্রলীগ করা অনেক নেতাকর্মীকে এমন সব ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয় কোন প্রকার ভিত্তি ছাড়াই যা দেখে অবাক হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। এবং যুগে যুগে এমনই হয়ে আসছে।
জীবনে সখ করেও বিড়ি সিগারেট খায় না এমন কর্মীকেও মাদক ব্যবসার হোতা বানানো হয়। সকালে নাস্তা করে বের হয়ে দুপুরে কোথায় খাবে আর পকেটে কত টাকা আছে সে হিসেব মিলানো কর্মীকেও অর্থিক জালিয়াতির খলনায়ক বানানো হয়।
সকল যোগ্যতা থাকার পরও কর্মক্ষেত্রে ছাত্রলীগ করার কারণে বঞ্চিত হতে হয়, রাজনীতি কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যে বড় বড় কুতবদের স্টীম রোলারে পিষ্ট হতে হয় তখন কেও খবর রাখেনা। ছাত্রলীগের বহু কেন্দ্রীয় নেতা চার বার ভাইভা দিয়েও বিসিএস এ যেতে পারে না। এরকম অনেক নজীর রয়েছে। দিনশেষে লুজার একমাত্র ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই। বাকিরা সবাই যার যার যায়গায় আরামেই থাকে।
সবারই নিজেদের ডিফেন্সের জন্য সমিতি রয়েছে। একমাত্র ছাত্রলীগেরই কোন সমিতি নেই। ভেতরে ভেতরে রাষ্ট্রের সবাই বিভিন্ন সিন্ডিকেটে বিভক্ত। নিজেদের কাজে সবাই এক ও অভিন্ন।
তাই সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া ঢালাওভাবে আক্রমণ করে একমাত্র ছাত্রলীগের ক্ষেত্রেই সবাই পার পেয়ে যায়। অন্যদের ক্ষেত্রে এসব করে পার পায় না।
ক্রেডিট ঃ মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ।