Mymensingh Bd News24:
বৃটিশ বিরোধী এই বিপ্লবী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড কে বোমা মেরে হত্যা করতে গিয়ে, একই রকম অপর এক গাড়ীতে হামলা করেন, এতে দুই মহিলার মৃত্যু হয়।
ক্ষুদিরাম বসু এবং সহযোগী প্রফুল্ল চাকি ঘটনার পর পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশের হাতে ধরা না দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রফুল্ল চাকি কিন্তু পায়ে হেটে বাইশ মাইল দুরে গিয়ে ধরা পরে যান ক্ষুদিরাম বসু।
সমগ্র স্বাধীনতাকামী জনতা ক্ষুদিরাম নামক এই বিপ্লবীর জীবন বাঁচাতে দেশব্যাপী মিছিল সমাবেশ করেন।কিন্তু বিচারক কর্নডফ ফাঁসীর রায় দেন।
ফাসী মঞ্চের সামনে গিয়ে তিনি উকিলদের দিকে তাকিয়ে বিদ্রোপের হাসি হাসেন। ফাসীর আগ মূহুর্তে কৌতুক করে জল্লাদকে জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা ফাঁসীর দড়িতে মোম দেয়া হয় কেন ? এই ছিলো ক্ষুদিরামের শেষ কথা।
ভারতের এই কনিষ্ঠতম বিপ্লবী হাসতে হাসতে ফাঁসীর দড়িতে ঝুলেছিলেন।১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিনে তাঁর ফাঁসী হয়।
তাঁর মৃত্যুতে চারন কবি গান লিখেন – ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি –
হাসি হাসি পরবো ফাসী দেখবে ইংল্যান্ড বাসী ‘ –
স্বল্প শিক্ষিত কিশোর ক্ষুদিরামের চিন্তা, দেশপ্রেম,বিপ্লবী চেতনা, স্বাধীনতার স্পৃহা, এবং মাথা নত না করা , বাঙ্গালী তথা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের যে শিক্ষা দিয়ে গেছে, বহু বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ও সে শিক্ষা দিতে পারেনি।
আজ এই মহান বিপ্লবীর মৃত্যু দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।