ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলাধীন বাবুগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ কামরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলাধীন বাবুগঞ্জ ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃকামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অত্র মাদ্রাসার জমি দাতা সদস্য আঃ হামিদের মেয়ে মনিকা আক্তারকে মাদ্রাসার আয়া পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে চাকুরি দেয়ার কথা থাকলেও তাকে চাকুরি না দিয়ে বেশী টাকা পেয়ে উক্ত পদে অন্য এক নারীকে চাকুরি দেওয়া হয়েছে।
পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং মনিকা আক্তারকে দিয়ে আয়া পদের জন্য আবেদন করানো হয়, কিন্তু ইন্টারভিউতে ফাষ্ট হওয়ার পরেও মনিকাকে চাকুরি না দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে উক্ত পদে অন্য আরেক নারীকে চাকুরি দেয়া হয়।
চাকুরি না হওয়ায় মনিকার বাবা আঃ হামিদ গত ১৭/০৬/২০২৩ইং তারিখ শনিবার বিকালে সুপার কামরুজ্জামান এর বাড়ীতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে সুপার তাকে নানা ভাবে গালিগালাজ হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে চাকুরি না পেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট (২ নং) আমলী আদালতে গত ২৫/০৬/২০২৩ ইং তারিখে মামলা দায়ের করেছেন মনিকা আক্তারের পিতা আঃ হামিদ। মামলা নাম্বার সি. আর-৬২৬/২৩ মামলার আরজি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা সংলগ্ন জমিদাতা সদস্য আঃ হামিদের মেয়ে মনিকা আক্তারকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুইবারে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সুপার কামরুজ্জামান।মনিকার বাবা আঃ হামিদ সাংবাদিকদের আরও জানান মনিকার জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধনের জন্য আরও ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন সুপার কামরুজ্জামান ।
এ বিষয়ে মনিকার মা শাহিনা বেগম বলেন, মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক হাসমত মৌলভী ও ব্যবসায়ী জামালের সামনে সুপার কামরুজ্জামান আমার মেয়েকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা নেন। আমার মেয়েকে চাকরি না দিয়ে অন্য জনকে চাকুরি দিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে।এখন টাকা ফেরত চাইলে টাকার কথা অস্বীকার করে। আমরা প্রতারক সুপার কামরুজ্জামানের উপযুক্ত বিচার চাই।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মামলার আরেক সাক্ষী জামাল উদ্দিন বলেন, আয়া পদে চাকুরির কথা বলে মনিকার বাবার কাছ থেকে সুপার ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে এটা আমি জানি এবং আমার সামনে লেনদেন হয়।এছাড়াও আরেক সাক্ষী ওয়াজ আলী বলেন শুধু আয়া পদে টাকা বানিজ্য হইছে তা না নিরাপত্তা প্রহরি নিয়োগের ক্ষেত্রেও বানিজ্য হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার সাক্ষী মোঃ উয়াজ আলী সাংবাদিকদের জানান, আমি সহ সাংবাদিক আসাদ এর সামনে টাকা লেনদেন হয়েছে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই।
এ ব্যাপরে বাবুগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা আলি আকবর সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগের সময় কোন অর্থ লেনদেন হয় নাই,তবে মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য অর্থ নেওয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপরে বাবুগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, চাকুরি দেয়ার নাম করে আমি কারো সাথে কোন প্রকার লেনদেন হয় নাই, মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।