গোলাম মোস্তফা
বিশেষ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রতি বছরের ন্যায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা থেকেই জড়ো হতে থাকেন মাইজভাণ্ডারী মুজাদ্দেদিয়া চিশতিয়া কাদেরীয়া তরিকার অনুসারীরা।পরে দোয়া ও মিলাদ কায়েম শেষে
সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বওলা বাজারের ভান্ডারী মোড় থেকে থেকে শুরু হয়ে জশনে জুলুসের আনন্দ শোভাযাত্রাটি বাজারের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে।এ সময় নারায়ে তাকবির,নারায়ে রিসালাত ও গাউসিয়তের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় চারপাশ
আশেকে রাসুল (সাঃ) ১০ নং বওলা ইউনিয়ন শাখার ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা কালেমা খচিত পতাকা,প্ল্যাকার্ড,ফেস্টুনসহ বাংলাদেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা বহন করে।জশনে জুলুসে অংশ নেয়া বেশিরভাগ মানুষের মুখে উচ্চারিত হচ্ছিল নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর,নারায়ে রিসালাত ইয়া রাসূলুল্লাহ।
আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস খাঁন মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় দেলোয়ার হোসেন সরকার (উজ্জ্বল মাষ্টার) সাখাওয়াত হোসেন তালুকদার,আ’লীগ নেতা অপু সরকার রেজাউল ভান্ডারী,রতন খাঁন,রুবেল খান,শফিক খান আয়ুব খান সুলতান খান,হালিম ফকির,নুর ইসলাম খান,পল্লী চিকিৎসক মোশাররফ হোসেন,ইউপি সদস্য আজিজুল হক প্রমুখ সহ মাইজভান্ডারী মুজাদ্দেদিয়া চিশতিয়া কাদেরীয়া দরবার শরীফের আশেকান জাকেরান ও শতশত নবী প্রেমী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে এক তথ্য বিবরণীতে পিআইডি জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন শুরু করেন।
বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির।দেশের মুসলমানরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন।ফলে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের নির্দেশনা সংবলিত প্রজ্ঞাপন দিয়েছেন ইসলাম ফাউন্ডেশন।
এবং ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।বাণীতে তারা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।