MYMENSINGH BD NEWS24
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে অজ্ঞাত যুবক হত্যাকান্ডের মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডিবি পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় লিয়াকত আলী ও নিহতের স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে ডিবি পুলিশ ও আদালতে পৃথকভাবে স্বিকারোক্তি প্রদান করেছে। নিহত ব্যাক্তির নাম হযরত আলী। সে শেরপুরের নালিতাবাড়ির বাশকান্দা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। স্ত্রীর পরকীয়া প্রকাশ পাওয়ায় স্বামী হযরত আলীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।
এ ঘটনায় ছোট ভাই আবু নাসের বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানার মামলা নং-২৮, তারিখ- ৩১/০৮/২০২১ ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জমান ক্লুলেস এই মামলাটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্তভার দেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবিকে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, আসামী লিয়াকত আলী ঢাকা উত্তরা এলাকায় থাকিয়া রাজমিস্ত্রী ও রিক্সা চালাতো। ১০ বছর আসামী সাবিনা খাতুন তার প্রথম স্বামী জনৈক সাইদুর রহমানকে শারিরীক অক্ষমতার অপবাদে তালাক দিয়ে তার দুলাভাই গ্রেফতারকৃত ঢাকায় লিয়াকতের কাছে চলে যায়। লিয়াকতের বাসায় থেকে সাবিনা বিভিন্ন বাসা-বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করত। এ সময় লিয়াকত ও সাবিনার মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
একই সাথে লিয়াকত তার প্রেমিকা সাবিনার কাছে হযরত আলীকে হত্যার বিষয় মোবাইল ফোনে জানায় ও সতর্ক থাকতে বলে। পরে লিয়াকত আত্মগোপনে চলে যায়।
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারের পর ঘটনাস্থল থেকে আসামী লিয়াকতের দেখানো মতে কাদামাটিতে পুতে রাখা মৃত হযরত আলীর মোবাইল সেট, পরিহিত লুঙ্গি, শার্ট, গেঞ্জি ও হযরত আলীকে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে ব্যবহার করা গামছা উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হলে গ্রেফতাকৃতরা স্বেচ্ছায় স্বিকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।