Mymensingh Bd News24 :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ফুলবাড়িয়া পরিবারের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাবি প্রতিনিধি:
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার পালকি কমিউনিটি সেন্টারে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অর্ধশত সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ময়মনসিংহ সুপ্রিম ল’কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও ময়মনসিংহ জর্জকোর্টের অ্যাডভোকেট অধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এই পরিবারের এক একজন শিক্ষার্থী ফুলবাড়িয়ার পিলারস্বরূপ। এখানকার প্রতিটি শিক্ষার্থী মেধাবী। তারা পড়াশোনা শেষ করে তাদের মাধ্যমে মেধার সাক্ষর রাখবে। যত উপরেই তারা যাক না কেন বিশ্ববিদ্যালয়কে কখনো অবমূল্যায়ন করবে না।
সম্মানিত অতিথি ময়মনসিংহ জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল কদ্দুস বলেন, ফুলবাড়িয়া পরিবার একটি সামাজিক সংগঠন। সামাজিক সংগঠনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যারা এই সংগঠনগুলো করে তাদের পারস্পরিক জানাশোনা বৃদ্ধি পায়। এসব সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো সত্তার জাগ্রত হয়। ফুলবাড়িয়ার অনেক শিক্ষার্থী আরো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে৷ তাদের সবাইকে যদি একটি প্লাটফর্মে দাঁড় করানো যায় তাহলে ফুলবাড়িয়া আরো এগিয়ে যাবে। একে অপরের প্রতি জানাশোনা বাড়বে।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক রাবির চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক হীরা সোবাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র। শিক্ষা, গবেষণার অবারিত সুযোগ। পড়াশোনা শেষ করে তোমরা যে আলোয় আলোকিত হবে তা ছড়িয়ে দিবে। যুবসমাজ চেষ্টা করলে যেকোনো কিছু করতে পারে। ময়মনসিংহের প্রতিটি উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। তারা যদি এগিয়ে আসেন সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব। যেকোনো ভালো কাজে আমাদেরকে তোমরা পাশে পাবে। সব সময় সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো। তবর আলোকিত হওয়ার যে দ্বার তা বিকশিত করার দায়িত্ব তোমাদের।
প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, ‘ডু সামথিং ফর ইউ’- তোমার জন্য কিছু করো। তোমার যে কাজ সেটা ভালো করে করো, পরিশ্রম করো। পড়াশোনা ভালো করে করো। পড়াশোনা করলেই চাকরি করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যার যেটা ইচ্ছা সেটাই করবে। তবে ভালো কিছু করার আকাঙ্খা থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাইরের অনেক রাষ্ট্রে ছেলে-মেয়েদের আঠারো বছর পর্যন্ত অভিভাবক ভরনপোষণ করেন। কিন্তু আমাদের দেশের অভিভাবকরা আঠারো বছরের পরও তাদের খরচ দেন। তাই তাদের প্রতি প্রতিটি শিক্ষার্থীর দায়বদ্ধতা রয়েছে। নিজের জন্য, তাদের ভালো থাকার জন্য হলেও কিছু করতে হবে। আর তাদের জন্য কিছু করতে পারলে সেখান থেকে দেশ অবশ্যই কিছু পাবে।#