Mymensingh Bd News24 :
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক আপ্লুত হয়ে বললেন, সংক্ষিপ্ত সফরেই বাংলাদেশ তার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উন্মাদনা কাছ থেকে দেখা হলো না। ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসার স্পর্শও সেভাবে পাওয়া হলো না। এমনকি সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুভূতি প্রকাশে সুযোগও হলো না। তবে যেটুকু হয়েছে, তাতেই আপ্লুত এমি মার্তিনেস। বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক বললেন, এদেশে ফিরতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।
১১ ঘণ্টার সফরে সোমবার ভোরে ঢাকায় আসেন মার্তিনেস। তার মূল সফরটি কলকাতায়। সেখানে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে আবেগের ছোঁয়া খানিকটা নিতেই তার এখানে আসা। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে নিয়ে এদেশে যে প্রবল উন্মাদনা, সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের স্রোত ধরে সেটি গত বিশ্বকাপে আন্দোলিত করেছে আর্জেন্টিনাকেও।
সংক্ষিপ্ত সফরে ভক্ত-সমর্থকদের নিয়ে মার্তিনেসের কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে তিনি বললেন, এখানকার মানুষের ভালোবাসা তাকে স্পর্শ করেছে দারুণভাবে।
“নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সট-এর সঙ্গে সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশে অসাধারণ এক সফর কাটালাম। এখানকার মানুষ, তাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং অতুলনীয় আতিথেয়তায় আমার হৃদয় সত্যিই বিগলিত। নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে ফিরে আসতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকব।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং অগুনতি আরও অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাদের নামও হয়তো জানি না, কিন্তু তাদের প্রয়াসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে এখন আমার যে বিশেষ বন্ধনের জন্ম হলো, তা গড়ে তোলায় আপনাদের সবার ভূমিকা আছে।”
সকালে নেক্সট ভেঞ্চার্সের কার্যালয়ে সময় কাটান মার্তিনেস। সেখানে একটি আয়োজন ছিল বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তরুণ সমাজের আইকন হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সেখানে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
বাংলাদেশ সফরের চারটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন মার্তিনেস। দুটি ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে, একটি ছবি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে উপহার নেওয়ার এবং আরেকটি নেক্সট ভেঞ্চার্সের কার্যালয়ে সেলফি।
গত কোপা আমেরিকায় ও গত বিশ্বকাপ ফাইনালে অসাধারণ পারফর্ম করা এই গোলরক্ষকে বাংলাদেশে ভক্ত-সমর্থকরা ভালোবেসে ডাকেন ‘বাজপাখি।’ নামটি সম্পর্কে জেনেছেন মার্তিনেস নিজেও। তার বিদায়ী বার্তাতে থাকল এই নাম ও এই দেশ নিয়ে ভালোবাসার কথা।
“পরের সফরের আগপর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি, তবে হৃদয়ে ঠিকই রয়ে যাবে এদেশ। বাংলাদেশ বাজপাখি হিসেবে আমি সবসময় জাদুমুগ্ধ হয়ে থাকব।”