নিজস্ব প্রতিনিধি :
পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াতে জোরপূর্বক ডিভোর্স নিতে চাইছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে রাজি না হওয়ায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে থানা ও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢাকার মিরপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকি নামের এক যুবক।
রমনা থানাধীন শান্তিনগর সার্কোলার রোড সাং ৮০/০১ সিদ্ধিসস্বরি ল -০৩ এর আবুল খায়ের এর পূত্র মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকি লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মিরপুর পল্লবী থানাধীন আরামবাগ এফ /২৭ আ/ এ সেকশন ৭ (পশ্চিম) এলাকার মোঃ আব্দুস সামাদ আজাদের মেয়ে মোছাঃ মৌরিন সামাদ প্রমার সাথে গত ২৬/১২/২০১৮ ইং তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই,সে আমার বিবাহিত স্ত্রী আমাদের একটি ৬ মাস বয়সের পূত্র সন্তান আছে ।
আবু বক্কর সিদ্দিকি জানান দুই বছর আগে শশুর শাশুড়ি আমার কাছ থেকে ৪০০০০০/- চার লক্ষ টাকা ধার নেন, এবং পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে ১০০০০০/- এক লক্ষ টাকা ফেরত দেন। বাকী টাকা চাইতে গেলে নানান রকম তারবাহানা করে আসছিলো,গত ১১/০৯/২০২৩ইং তারিখে আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমার শশুর, শাশুড়ি এবং পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা মিলে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে আমি কোন টাকা পাইনা এ মূলে মুচলেকা নেয় এবং আমাকে মানসিক ভাবে বিপদগ্রস্ত করেন ও প্রাণনাশের হমকি দিয়ে আসছে।পরবর্তীতে আমি জানতে পারি আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রী মৌরিন সামাদ প্রমাকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক এবং শারিরীক অত্যাচার করে আসছে,সে সময় পরিবারের লোকজনের সামনেই আমাকে কল দিয়েছে সেটি বুঝতে পারেন তারা। আমি পরবর্তীতে কোনোভাবেই আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেয়ে ঢাকার মিরপুর পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। জিডি করার পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে মেরে ফেলার এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ আবু বক্কর সিদ্দিক তিনি বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়ে থানায় জিডি করেছি।
তারা আমাদের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে আমার স্ত্রীকে আমার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য ও প্রলোভন দেখিয়ে প্রভাবিত করার জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন,‘আমি আমার স্ত্রীকে চেয়ে ঢাকা সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু যৌক্তিক কারণ প্রমাণ করলে আলাদা হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন আদালত। তবে সেক্ষেত্রে বিয়েটা বলবৎ থাকে।
তিনি এসব ঘটনার পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিজের স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদায় তার নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান।