https://youtu.be/oG8tZzVATC0?si=q9qIOHM1a-S8plV7
MYMENSINGH BD NEWS24 :
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ইসরাত জাহান তনুর মদ্যপানের ভূয়া ভিডিও ও পারিবারিক ভিডিওর রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ভাইরাল করে যাচ্ছে অসৎ চরিত্রের স্বার্থবাদী কিছু লোক। ইসরাত জাহান তনুর দাবি, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষ গ্রুপ তার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির ও তথাকথিত কিছু ফেসবুক সাংবাদিক দিয়ে আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তার সম্মানহানি করার পাশাপাশি তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এবং অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সংগঠন বিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের দলীয় প্যাডে মুক্তাগাছা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পদ থেকে ইসরাত জাহান তনুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে তনুর মদ্যপান ও সেবনের স্থিরচিত্র ও পারিবারিক একটি অশ্লীল ভিডিওটির অডিও এডিট করে কল রেকর্ডের লগো দিয়ে ফেসবুকে আপলোড করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
সেই ছবি ও ভিডিও যাচাইবাছাই করে দেখা যায়, মদ্যপানের ভিডিও ভূয়া এবং ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটি তার সাবেক স্বামীর মোবাইলে ধারণ করা একটি পুরাতন ভিডিও। যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে এবং প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন সামাজিকভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেছেন। তাদেরকে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব ফেক ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
https://youtu.be/oG8tZzVATC0?si=q9qIOHM1a-S8plV7
এদিকে এ ঘটনার প্রতিকার পেতে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন ইসরাত জাহান তনু। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করার কথাও জানান এই নেত্রী।ইসরাত জাহান তনু বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পিছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষ লোকজন। আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার লক্ষে ২০২২ সালের ভারতের তামিলনাড়ুর একটি ভিডিও ফেইসবুক থেকে নেওয়া ছবি আমার নাম বলে প্রচার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন।আমাকে সামাজিকভাবে সম্মানহানি করার জন্যই কিছু লোক একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এই
বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দদের জানিয়েছি।আশা করি ন্যায় বিচার পাবো এবং বহিস্কৃত পদ ফিরে পাবো ইনশাআল্লাহ ।
খায়রুল ইসলাম মনি সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। অগোচরে একাধিক যুবককে বাসায় নিয়ে তনু প্রেমে মেতে থাকতেন। তাদের মধ্যে রানা, সবুজ ও জাহাঙ্গীর অন্যতম। তনু হাতেনাতে ধরা পড়েন। দেনদরবারের ভয়ে পরকীয়ার নায়ক রানার সহযোগিতায় ট্রাকে করে বাসার মালামাল নিয়ে মুক্তাগাছায় চলে আসেন। প্রথম স্বামী মেহেদী চিশতীকে নিয়ে তনু মুক্তাগাছায় বসবাস করতে থাকেন। আগের কুকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবারো মনির সাথে মিশেন। ২২-০৮-২০২১ তারিখ মধ্য রাতে মেহেদীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তনু ধরা পড়েন। পুলিশ ও বাড়ির মালিকের উপস্থিতিতে তার মা সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ঘটনা মিটিয়ে ফেলেন। অঙ্গিকারনামা রেখে মেহেদীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছিলো। পরবর্তীতে রাজনীতি শেখার কথা বলে বাবুল নামের ৬০ বছরের ব্যক্তির সাথে তনুর সখ্যতা হয়। চলতে থাকে পরকীয়া। বাবুলের প্ররোচণায় মনিকে ডিভোর্স দিয়ে ১৮-০৭-২০২২ তারিখে আদালতে দেনমোহরের মামলা করেন। মুক্তাগাছার পৌর মেয়র আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন সরকারের বাসায় ডিভোর্স নিয়ে কয়েকবার দরবার হয়। ১৭-০৯-২০২২ তারিখ রাতে মার উপস্থিতিতে তনু ভুল স্বীকার করে নিয়ম অনুযায়ী ডিভোর্স প্রত্যাহার করে নেন। সূত্র মতে, ভুক্তভোগী মনি ৪ বছরের অধিক সময় তনুর ছোট বোনের লেখাপড়াসহ পুরো পরিবারের অধিকাংশ খরচ বহন করেন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, দ্বিতীয় স্বামী খায়রুল ইসলাম মনির সাথে সংসার করার পরও বহু পুরুষে আসক্ত ইসরাত জাহান তনু একেক করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি সাংবাদিকদের জানান, তার বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক কিন্তু ফেসবুকে ছড়ানো ছবি ও ভিডিওটি ভূয়া প্রমানিত হয়েছে । মদ্যপানের ভিডিওটি তনুর না, যা ইতিমধ্যে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে,তার পদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও সুপারিশ করা হয়েছে। মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।