
MBN24 ONLINE :
MBN24 ONLINE :
অভিযান ০১: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (“পঙ্গু হাসপাতাল” নামে সুপরিচিত) -এ চিকিৎসাসেবা প্রদানে ঘুস দাবি ও হয়রানির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে টিম ছদ্মবেশে উপস্থিত থেকে সাধারণ রোগী ও স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, হাসপাতালের মোট ৮টি এক্স-রে মেশিনের মধ্যে ৩টি সচল রয়েছে এবং ৫টি মেশিন দীর্ঘদিন যাবৎ অচল। এছাড়া হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান মেশিনও অকেজো অবস্থায় রয়েছে। কয়েক মাস ধরে এক্স-রে ফিল্মের সংকটও বিদ্যমান রয়েছে। টিম জানতে পারে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করলেও এখন পর্যন্ত সমস্যার কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, উক্ত হাসপাতালে ৬৩৪টি অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ৩৯০ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন, ফলে চিকিৎসাসেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনান্তে অভিযান পরিচালনাকারী টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। অভিযান ০২: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নগরীতে নালা ও খাল যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। টিম নগরীর খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট চলমান কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করে। প্রকল্পের ডিপিপিতে উল্লিখিত প্রস্তাবিত রেলিংয়ের দৈর্ঘ্যের সাথে পরিদর্শনকালে প্রাপ্ত দৈর্ঘ্যের মিল পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনাকালে তিনি দুদক টিমকে জানান যে, গত ১৮-০৪-২০২৫ খ্রি. তারিখে নগরীর হিজরা নালায় পড়ে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনান্তে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রেরণ করবে। অভিযান ০৩: শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় কর্মচারী নিয়োগ ও পৌর ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক, সজেকা, মাদারীপুর হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম প্রথমে কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ, পর্যালোচনা এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয়, ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় বিগত ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সালে ৩টি পদে নিয়োগে পৌরসভা কর্মচারী বিধিমালা, ১৯৯২ অনুসরণ করা হয়নি। নিয়োগ কমিটির কোন রেজুলিউশন ছাড়া ইচ্ছামতো নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন দিয়ে লিখিত পরীক্ষা নেয়া, লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম, একই দিনে দ্রুত যোগদান, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই চাকরি স্থায়ীকরণ- এরূপ সন্দেহজনক এবং বিধিবহির্ভূত কার্যক্রমের প্রাথমিক সত্যতা পায় এনফোর্সমেন্ট টিম। এ বিষয়ে নিয়োগকালে দায়িত্ব পালনকারী মেয়র এবং উপসহকারী প্রকৌশলী (অতি: দায়িত্ব পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা) টেলিফোনিক জিজ্ঞাসাবাদে দুদক টিমকে সদুত্তর দিতে পারেননি। একই অভিযানে পরবর্তীতে পৌর ভবন নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখে দুদক টিম । প্রাথমিক পর্যালোচনায় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবনের কক্ষগুলো নির্মাণ করা হয়নি মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযোগে উল্লিখিত বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।